শনিবার

৩রা জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
২০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কী ছিল যুক্তরাষ্ট্রের গোপন নথিতে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ওয়াশিংটন পোস্টের খবর অনুসারে, ওই ব্যক্তি ডিসকর্ড চ্যাটরুমের দলনেতা। দু’ডজন সদস্যের দলটি মিম, অফেন্সিভ জোকস ও চ্যাট ছাড়াও দলবদ্ধভাবে প্রার্থনা করে এবং সিনেমা দেখে। এ দলটিতে রাশিয়া, ইউক্রেন ছাড়াও ইউরোপ, এশিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকার লোকজন রয়েছে।

শুরুতে ফাঁস হওয়া নথিগুলো একটি ছোটো চ্যাটরুমে দেয়া হয়। তবে মার্চের শুরুতে এগুলো ডিসকর্ড সার্ভারগুলোতে চলে আসে, যার মধ্যে একটি গেমের জন্য আরেকটি একজন ফিলিপিনো ইউটিউবারের।

সেখান থেকেই এগুলো চলে যায় টেলিগ্রাম চ্যাটরুমসহ নানা জায়গায়, যার মধ্যে কিছু রাশিয়াপন্থি চ্যানেলও ছিল। কিছু ক্ষেত্রে তাদের ইউক্রেনে হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধি সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছিল।

কী ছিল গোপন নথিতে
এসব নথির কয়েকটির ওপর ‘টপ সিক্রেট’ লেখা ছিল। কয়েকটিতে ইউক্রেন যুদ্ধের বিস্তারিত চিত্র, কিছু জায়গায় চীন ও তার মিত্রদের বিষয়ে খবর এবং বিভিন্ন দেশ ও ব্যক্তির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারির তথ্য ছিল।

 

নথিতে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য রাশিয়াকে জবাবদিহির বিষয়টিতে ততটা গুরুত্ব দেননি।

 

ওয়াশিংটন মনে করে, জাতিসংঘ মহাসচিব রাশিয়ার স্বার্থ দেখার চেষ্টা করেছেন। কৃষ্ণসাগর দিয়ে শস্য রপ্তানির বিষয়ে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় যে চুক্তি হয়েছে, সে সম্পর্কিত তথ্য রয়েছে ফাঁস হওয়া নথিতে। সেখানে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ মহাসচিব চুক্তি সংরক্ষণে খুব আগ্রহী এবং তিনি রাশিয়ার দাবির প্রতি নমনীয়, যা রাশিয়াকে জবাবদিহির আওতায় আনার বৃহত্তর স্বার্থের পরিপন্থি।

গত ২৩ মার্চের একটি নথিতে দেখা যায়, ইউক্রেনের ভেতরে থেকে কাজ করছে পশ্চিমা বিশেষ বাহিনী। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় কন্টিনজেন্ট রয়েছে যুক্তরাজ্যের, যার সদস্য প্রায় ৫০ জন। এছাড়া লাটভিয়ার ১৭, ফ্রান্সের ১৫, যুক্তরাষ্ট্রের ১৪ ও নেদারল্যান্ডের একজন সদস্য রয়েছে।

আরও সংবাদ

spot_img

সর্বশেষ সংবাদ